শেয়ার বাজার

অনুমতি ছাড়া ওড়ানো যাবে না বিমান, ড্রোন : আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

অনুমতি ছাড়া ওড়ানো যাবে না বিমান, ড্রোন : আইএসপিআর

বার্তাবেলা ডেস্ক: অনুমতি ছাড়া আকাশে রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি, লেজার ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস উড্ডয়ন করছেন। এ ছাড়াও বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান-প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ছাড়াও বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আইএসপিআর আরও জানায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে। এ ছাড়াও বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে।


পণ্যের দাম বেশি নিলেই ৩৩৩-নম্বরে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

পণ্যের দাম বেশি নিলেই ৩৩৩-নম্বরে অভিযোগ

বার্তাবেলা ডেস্ক: বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সুবিধা চালু করা হবে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। সেখানেই তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে ও রোগী শনাক্তকরণে ৩৩৩ এর ব্যবহার বাড়ানো হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ৩৩৩ নম্বরকে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হলো।

তিনি জানান, ‘৩৩৩’ নম্বরে বর্তমানে যেসব সেবা আছে, সেগুলো চালু থাকবে। পাশাপাশি ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করার পর আরেকটি ডিজিটে চাপ দিয়ে নতুন সেবাটি পাওয়া যাবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সুবিধা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে নতুন একটি ওয়েবসাইট খোলা হবে; যেখানে পণ্যের দাম, মজুতসহ বিভিন্ন তথ্য থাকবে।

আসন্ন রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের যার যতটুকু সক্ষমতা আছে, তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, যে কোনো পণ্য উৎপাদন, মজুত, বাজারজাতকরণ, বিপণন ও আমদানি পর্যায়ে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা ও নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করা গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর রিয়েল টাইম ইনফরমেশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দিতে চাই।



ফেসবুকে খবর প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৪

ফেসবুকে খবর প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না

ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে খবরের প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না ফেসবুক।  নিউজ ট্যাব ফিচারটিও শিগগিরই বন্ধ করছে মেটা।

আগামী এপ্রিল মাস থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তরফ থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেসবুকে নিউজ ট্যাবে সংবাদ পরিবেশন বা প্রকাশের জন্য আর টাকা দেওয়া হবে না। ফেসবুক নিউজ বলে যে বিশেষ অপশনটি ছিল, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে নিউজ পাবলিশাররা কোনও নতুন অফার বা সুযোগ সুবিধা পাবেন না বলেও জানিয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা।

মেটা বলছে, নিউজ ট্যাব বন্ধ করার কারণে যে অর্থ ও সম্পদ বেঁচে যাবে, সেটা এমন কোনো কাজে ব্যবহার করা হবে, যা মানুষ ফেসবুকে দেখতে চায়।

তবে এমন সিধান্ত কেন নিয়েছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি? উত্তরে, মেটার তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়িক কারণ দেখানো হয়েছে। সেই সাথে বলা হয়, মানুষ ফেসবুকে সংবাদ ও রাজনৈতিক কনটেন্ট পেতে আসে না।

সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ফেসবুকে ইউজাররা যা দেখেন, তার ৩ শতাংশের কম হল নিউজ। এছাড়াও খবর পড়েন এমন ইউজারদের সংখ্যাও ফেসবুকে বেশ কম বলেই জানিয়েছে মেটা। 

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জার্মানির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা।সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই ৩দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

এর আগে, গত বছর ব্রিটেন, ফ্রান্সেও এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেটার পক্ষ থেকে। নতুন করে তিনটি দেশে ফের একই নিয়ম চালু করার কিছু কারণ রয়েছে। বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্য একটি কারণও দেখছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।‌ তা হল ফেসবুক নিউজ ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন। গত বছর, প্রায় ৮০ শতাংশ ইউজার নিউজ ট্যাবে গিয়ে খবর পড়া আগ্রহ কমে যায় অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ মেটার, এমনটাই অনেকের দাবি। তবে, তিন দেশেই ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ফিডে খবর দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছে মেটা।

এর আগে, ২০২৩ সালে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দিয়েছিল মেটা।

তবে, সংস্থাটি জানিয়েছে, ভিডিও কন্টেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাড ও রেভিনিউ; বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে।