শেয়ার বাজার

পুঁজিবাজার
অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দুষলেন: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দুষলেন: অর্থ উপদেষ্টা

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি বলেন, আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। আবার শেয়ার প্রাইস কমে গেলেই আন্দোলন করেন, আমি এর পক্ষে নই।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। নূন্যতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’

তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য যদি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।

ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।

অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা এরইমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।

Dummy Ad 1

উদ্বোধন হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

উদ্বোধন হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

বার্তাবেলা ডেস্ক: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) পর্দা উঠলো। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে মাসব্যাপী এ মেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে পণ্য উন্নয়ন ও পণ্যের বহুমুখী বাজার সৃষ্টিকরণ। আর পণ্যের বাজার সৃষ্টিকরণের অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন ও মেলায় অংশগ্রহণ। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

মেলার ২৫টি পর্ব আয়োজিত হয়েছে শের-ই-বাংলা নগরের উন্মুক্ত মাঠে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাণিজ্যমেলার জন্য নির্মিত স্থায়ী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ডিআইটিএফ-২০২২ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে যুক্ত হয়েছে এক নতুন মাত্রা। এই স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে তৃতীয়বারের মতো হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৪। চীনের অর্থায়নে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছর এখানেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আসর বসবে।

ইপিবি জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে। আগের মতো মেলাটি মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এবার মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে উত্তরা বা মতিঝিল থেকে যারা মেলায় আসবেন তারা মেট্রোরেল এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে আসতে পারেন সেই সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে। এবারের বাণিজ্যমেলার লে-আউট প্ল্যান (সংশোধিত) অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলের মোট সংখ্যা ৩৫১টি।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণার্থে মেলাপ্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সার্ভিস গেট ও ভিআইপি গেটের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রাইভেট সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশপথ, পার্কিং এরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মেলার প্রবেশপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে যে কোনো ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে মেলায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে ফায়ার ব্রিগেড।

মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি অস্থায়ী সচিবালয়। দর্শনার্থীদের সব প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য রয়েছে একটি তথ্যকেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকছে ডাচ্-বাংলা ও ইসলামী ব্যাংকের একাধিক বুথ। এছাড়া মেলায় থাকছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের সার্ভিস বুথ। মেলায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। মা ও শিশুদের কথা বিবেচনা করে মেলায় স্থাপন করা হয়েছে দুটি মা ও শিশুকেন্দ্র। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবার মধ্যে রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, মসজিদ, নিউট্রিশন অ্যান্ড অটিজম সেবা, দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার বেঞ্চ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, উন্নত শিল্প সমৃদ্ধ-সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার অবদান ও ভাবনা, দেশের উন্নয়ন ইত্যাদিকে প্রক্ষেপণ করে এবারের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন অধিকতর নান্দনিক, ভাবগাম্ভীর্য ও অর্থপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শের বিভিন্ন দিক ছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়ার প্রকৃত ইতিহাস সবার কাছে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরারও প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও সম্পর্কিত বই এবং তার জীবন ও কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

বার্তাবেলা ডেস্ক: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ৩৫ মিনিটে মেলাপ্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি। বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন তিনি।

রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে পণ্য উন্নয়ন ও পণ্যের বহুমুখী বাজার সৃষ্টিকরণ। আর পণ্যের বাজার সৃষ্টিকরণের অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন ও মেলায় অংশগ্রহণ। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

মেলার ২৫টি পর্ব আয়োজিত হয়েছে শের-ই-বাংলা নগরের উন্মুক্ত মাঠে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাণিজ্যমেলার জন্য নির্মিত স্থায়ী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ডিআইটিএফ-২০২২ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে যুক্ত হয়েছে এক নতুন মাত্রা। এই স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে তৃতীয়বারের মতো হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৪। চীনের অর্থায়নে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছর এখানেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আসর বসবে।

ইপিবি জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে। আগের মতো মেলাটি মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এবার মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে উত্তরা বা মতিঝিল থেকে যারা মেলায় আসবেন তারা মেট্রোরেল এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে আসতে পারেন সেই সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে। এবারের বাণিজ্যমেলার লে-আউট প্ল্যান (সংশোধিত) অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলের মোট সংখ্যা ৩৫১টি।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণার্থে মেলাপ্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সার্ভিস গেট ও ভিআইপি গেটের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রাইভেট সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশপথ, পার্কিং এরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মেলার প্রবেশপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে যে কোনো ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে মেলায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে ফায়ার ব্রিগেড।

মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি অস্থায়ী সচিবালয়। দর্শনার্থীদের সব প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য রয়েছে একটি তথ্যকেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকছে ডাচ্-বাংলা ও ইসলামী ব্যাংকের একাধিক বুথ। এছাড়া মেলায় থাকছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের সার্ভিস বুথ। মেলায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। মা ও শিশুদের কথা বিবেচনা করে মেলায় স্থাপন করা হয়েছে দুটি মা ও শিশুকেন্দ্র। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবার মধ্যে রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, মসজিদ, নিউট্রিশন অ্যান্ড অটিজম সেবা, দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার বেঞ্চ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, উন্নত শিল্প সমৃদ্ধ-সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার অবদান ও ভাবনা, দেশের উন্নয়ন ইত্যাদিকে প্রক্ষেপণ করে এবারের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন অধিকতর নান্দনিক, ভাবগাম্ভীর্য ও অর্থপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শের বিভিন্ন দিক ছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়ার প্রকৃত ইতিহাস সবার কাছে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরারও প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও সম্পর্কিত বই এবং তার জীবন ও কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পরপরই বড় পতনে সোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পরপরই বড় পতনে সোনা

বার্তাবেলা: বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ১০০ ডলার স্পর্শ করে সপ্তাহে। সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পর অবশ্য সেই দাম ধরে রাখতে পারেনি এ ধাতুটি। রেকর্ড সৃষ্টির পর বড় পতনের মধ্যে পড়েছে সোনা। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ধাতুটির দাম প্রায় ৭০ ডলার কমেছে।

বিশ্ববাজারের মতো দেশের বাজারেও সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে। ফলে দেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য কয়েক দফা দাম বাড়ার পর গত সপ্তাহে দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। তবে, বিশ্ববাজারে যে হারে দাম কমেছে দেশের বাজারে দাম কমার হার সেই তুলনায় কম।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯৭ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ৪ ডিসেম্বর লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ১২৪ দশমিক ৭৩ ডলারে ওঠে। সোনার এত দাম আর আগে বিশ্ববাসী দেখেনি।

অবশ্য এ রেকর্ড দাম হওয়ার পরপরই পতনের মধ্যে পড়ে সোনা। ওই দিনই প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে ২ হাজার ২১ ডলারে চলে আসে। অর্থাৎ একদিনেই সোনার দাম ১০০ ডলারের ওপর কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। একদিনের মধ্যে সোনার দামে এমন উত্থান-পতনও আগে কখনো দেখা যায়নি।

সোনার দামের এমন উত্থান-পতন বিস্মিত করেছে এ খাত সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, দাম বাড়বে এবং কমবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু একদিনের মধ্যে এক আউন্স সোনার দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে যাওয়া এবং কমে যাওয়ার ঘটনা আগে দেখা যায়নি। সাধারণত দাম বাড়া বা কমার পেছনে কোনো না কোনো ঘটনা থাকে। কিন্তু এবার কি কারণে এমন দাম বাড়লো এবং কি কারণেই দরপতন হলো তার কোনো কারণ খুঁছে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ১২৪ ডলারে ওঠে। সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। কিন্তু এ রেকর্ড দামের পরই আমরা আবার বড় দরপতন দেখতে পাই। একদিনের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১০০ ডলার কমে যায়। সোনার দামে এমন অস্থিরতা আগে দেখা যায়নি। এতে আমরা বিস্মিত হয়েছি।

তিনি বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি যখন সোনার দাম বেড়েছে বা কমেছে তার পেছনে কোনো না কোনো কারণ আছে। কিন্তু এবার কেন সোনার এত দাম বাড়লো, আবার কেনই বা কমলো তার কোনো কারণ জানতে পারেনি। এটা শুধু আমাদের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নয়, অন্য দেশের বিনিয়োগকারীদেরও বিস্মিত করেছে।

এদিকে একদিনে বড় উত্থান পতনের পর গত সপ্তাহের বাকি চার কর্যদিবসেও সোনার দাম কিছুটা অস্থিরতা দেখা গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে ১ হাজার ৯৯৫ ডলারে চলে আসে। তবে শেষদিকে কিছুটা দাম বেড়ে ২ হাজার ৩ দশমিক ৯৪ ডলারে থিতু হয়েছে সোনা।

এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৬৮ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বা ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই কমেছে ২৪ ডলার বা ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর বড় পতন হওয়ায় দেশের বাজারে গত সপ্তাহের সোনার দাম কিছুটা কমিয়েছে বাজুস। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠক করে ৭ ডিসেম্বর থেকে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে।

ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা কমিয়ে ৮৮ হাজার ৪৭১ এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা কমিয়ে ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০ টাকা গুনতে হতো।

এ দাম কমানোর আগে ৩০, ২৭, ১৯ ও ৬ নভেম্বর এবং ২৭ অক্টোবর সোনার দাম বাড়ানো হয়। অর্থাৎ টানা পাঁচ দফা দাম বাড়ানোর ঘটনা ঘটে। এতে দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়। ৩০ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ হাজার ৯২৯ এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। দেশের বাজারে এর থেকে বেশি দামে আর সোনা বিক্রি হয়নি।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম বড় পতন হওয়ায় এখন দেশের বাজারে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে এমএ হান্নান আজাদ বলেন, সর্বশেষ আমরা যখন দাম সমন্বয় করেছি সে সময় স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার যে দাম ছিল এখনো প্রায় তাই রয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আমরা সোমবার বিশ্ববাজারের পরিস্থিতি দেখবো। যদি দাম সমন্বয়ের মতো হয়, তাহলে দাম সমন্বয় করা হবে।