শেয়ার বাজার

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদের দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদের দাফন সম্পন্ন

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী খান বাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেগচামী স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ (৮২) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) যোহর বাদ মেগচামী খান বাড়ী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এসময় মধুখালী উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদ আলম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এরপর জানাজার নামাজ শেষে তাকে খান বাড়ী পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মীরপুরস্থ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। তাঁর একমাত্র সন্তান যুবরাজ খান বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। 



ফরিদপুরের মধুখালীতে যুববকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০২৪

ফরিদপুরের মধুখালীতে যুববকে কুপিয়ে হত্যা

ফরিদপুরের মধুখালীতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবকে কুপিয়ে হত্যা, নিহত ব্যক্তির নাম নিজাম উদ্দিন (৩৫) নিজাম উদ্দিন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের মানিক শেখের ছেলে। 

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১ টার দিকে নিজাম উদ্দিনের শ্বশুর বাড়ি থেকে তার শ্যালকসহ বেশ কয়েকজন নিজামের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং নিজাম উদ্দিনকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখন করে পালিয়ে যায়।

নিহত নিজাম উদ্দিনের ছোট ভাই আজিম উদ্দিন বলেন, আমার বড় ভাইকে তার শ্যালক আশুারুল, ইলিয়াস, মামুন, হারুনসহ বেশ কয়েকজন মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আমার ভাই নিজাম উদ্দিন তার শালিকা'কে নিয়ে ঝামেলা ছিলো শালিকাকে নিয়ে বেড়াতে যায় আমার ভাই তারপর তাকে নিয়ে রাতে আমাদের বাড়িতে চলে আসে এই খবর পেয়ে আমার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে লোকজন শালিকাকে নিতে এসে ঘরে ঢুকে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

নিহত নিজাম উদ্দিনের শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার শ্বশুর বাড়ি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দীঘলিয়া গ্রামে। রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিজাম উদ্দিনকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেবার পথে মারা যান তিনি।

সকালে হত্যার সংবাদ পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ আসে পরে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে লাশের সুরতহাল করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এই বিষয়ে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মিরাজ হোসেন বলেন, সকালে তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেইনি অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


ধর্ষণকাণ্ড: জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ধর্ষণকাণ্ড: জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

বার্তাবেলা ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষক ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ সাজাসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত নতুন প্রশাসনিক ভবন ‘প্রতীকী অবরোধ’ করেছেন আন্দোলনকারীরা। 

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে দুই ঘণ্টা ধরে এ অবরোধ করা হয়। পরে বেলা ১১টায় এই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

অবরোধ চলাকালে প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমকেও দেখা যায়নি। 

এর আগে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নতুন প্রশাসনিক ভবনে প্রতীকী অবরোধ করেছিল ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ'। 

‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের’ পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত ও র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করাসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত ও সুষ্ঠু হওয়ার স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত করতে হবে, অছাত্রদের সরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসন আমাদেরকে বলেছিল, পাঁচ কর্মদিবসে অছাত্রদের বের করে দিবে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঢাকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।“ 

তিনি বলেন, “সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশাসন দেখা করেছে। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করবেন? তার কাছে গিয়েছিলেন নিশ্চয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সহায়তা নিয়ে তল্লাশি করার জন্য। কিন্তু পুলিশ এখানে কী সহায়তা করবে, তারা কি বহিরাগত অছাত্রদের চেনে? এখানে হল প্রশাসন যদি কাজ করে তাহলে কিন্তু সমাধান হয়। কিন্তু তারা কেউ কাজ করছেন না।”

গত ১৫ বছরে প্রতিটা হল টর্চার সেলে পরিণত হয়েছে; রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে বিচারহীনতা চলছে তার প্রভাব এখানে পড়েছে বলে জানান এই অধ্যাপক।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “এক পৈশাচিক ঘটনা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো ব্যাধিকে জাতির সামনে তুলে ধরেছে। এই সংক্রামক ব্যাধিগুলো দূর করা যাবে না এটা এমনও না। এটা অবশ্যই দূর করার মত। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে যে দায়িত্বশীল হতে হবে। সেই দায়িত্ব আমরা দেখিনি। 

“বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারকে যে ঘটনাগুলো কলুষিত করেছে, কলঙ্কিত করেছে, সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে সেই সম্মান উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কোনো তৎপরতা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।" 

তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক কীভাবে ছড়িয়ে গেছে, মাদক ব্যবসা, চোরা চালান, মাদক সেবন সামনে এসেছে। র‍্যাবের ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন যে পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটছিল তা এই অছাত্ররা করছিল। এই প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে তারা দায় এড়াতে পারে না। শুধু এই প্রশাসন তা উপলব্ধি করতে পারছে না।" 

অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, "এই ক্যাম্পাসে একজন বৈধ শিক্ষার্থী থাকার জায়গা ও লেখাপড়ার জন্য চেয়ার-টেবিল পায় না। অন্যদিকে কিছু অবৈধ শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় থেকে তাদের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করে হলগুলোতে থাকছে।যার ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

“গণরুমে ওঠার পরে যারা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হয় তাদেরকে আগে সিট দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। আর গণরুম ও গেস্টরুমের কালচার এবং র‍্যাগিং শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ককে বিকৃত করে তোলে।” 

এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার ও সোহেল রানা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম।