শেয়ার বাজার

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের যে সমাধান দিলেন শেহজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের যে সমাধান দিলেন শেহজাদ

ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব সামনে আসলেই ভক্তদের মুখ থেকে অনায়াসেই এমন বাক্য বেরিয়ে যায়। যেখানে এই ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের থাকার কথা প্রবল আগ্রহ, সেখানে তারাই হচ্ছেন বিরক্ত। যার জন্য দায়ী সরাসরি ভারত-পাকিস্তানই।

আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক ভারত ও পাকিস্তানের কোনোটি হলেই শুরু হয় বিড়ম্বনা। কোনোভাবেই পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে চায় না ভারত। যার সর্বশেষ উদাহরণ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। বহু চেষ্টা করেও ভারতকে খেলতে যেতে রাজি করাতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সমঝোতার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, হাইব্রিড মডেলে হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আয়োজক হিসেবে থাকবে পাকিস্তানই। তবে ভারতের সবগুলো ম্যাচ হবে আরব আমিরাতে। অচলাস্থা কেটে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয় ভেন্যু।

ভারতের একঘেয়েমির কারণে কঠিন হয়েছে পাকিস্তানও। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও এবার পিসিবি জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসির কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। অর্থাৎ এই সময়ে ভারতের মাটিতে হওয়া টুর্নামেন্টগুলোও হবে হাইব্রিড মডেলে।

দুই দেশের এই দ্বন্দ্ব ক্রিকেটীয় চেতনার সঙ্গেও বেমানান। আবার আইসিসি যে সমাধান দিয়েছে, তাও ক্ষণস্থায়ী। চলমান এই দ্বন্দ্বের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন অনুভব করছেন ক্রিকেটভক্তরা।

এর জন্য একটি সমাধান দিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ। তিনি ধারণা দেন, দুই দেশের সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম হবে। যে স্টেডিয়ামের একটি গেট থাকবে পাকিস্তানে। অন্যটি ভারতে।

একটি পডকাস্টে শেহজাদ বলেন, ‘সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করুন। একটি গেট ভারতের দিক থেকে খুলবে। তাদের খেলোয়াড়েরা সেই গেট দিয়ে মাঠে আসবে। আমাদের খেলোয়াড়েরা যাবে এদিক (পাকিস্তানের দিকের গেট) দিয়ে।’

শুধু সমাধান দিয়েই থামেননি শেহজাদ। কৌশলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও ভারত সরকারের সমালোচনাও করেছেন। অনেকটা খোঁচা মেরে শেহজাদ বলেন, ‘আমার মনে হয় এরপরও বিসিসিআই ও ভারত সরকার ঝামেলা করবে। তারা বলবে, তোমাদের (পাকিস্তান) খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে আমাদের প্রান্তে আসবে, আমরা তাদের ভিসা দেবো না।’

Dummy Ad 1

সুপার লিগের বিধ্বংসী সৌম্যকে ওয়ানডেতে দেখতে চান মিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

সুপার লিগের বিধ্বংসী সৌম্যকে ওয়ানডেতে দেখতে চান মিরাজ

সবার জানা, রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি সুপার লিগে খেলা সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের তানজিম সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দলে আছেন।

কয়েক ঘণ্টা পরই সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে দলটি মাঠে নামবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

তামিম ইকবাল আগে থেকেই ছিলেন না। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে সাকিব আল হাসানও দলের বাইরে। ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।

অভিজ্ঞদের ছাড়া অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট ২০১ রানে হারলেও জ্যামাইকায় শেষ টেস্টে দারুণ লড়াই করে ১০১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এতে ১-১ সমতায় লাল বলের সিরিজ শেষ করেছে টাইগাররা।

টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজেও দলে নেই সাকিব, মুশফিক ও শান্ত। তাদেরকে ছাড়া একদিনের সিরিজে কী করে মিরাজের দল, সেটা দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্ত-সমর্থকরা।

আশার কথা হলো- সাকিব, মুশফিক ও শান্ত না থাকলেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দলে থাকছেন সদ্য সমাপ্ত গ্লোবাল সুপার লিগে দারুণ পারফর্ম করা সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রব ও তানজিম সাকিব।

টেস্ট দলের বাইরে থেকে যারা ওয়ানডে স্কোয়াডে ঢুকেছেন, তাদের মধ্যে সৌম্য, আফিফ, রিশাদ খেলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। আর ডানহাতি পেসার তানজিম সাকিব খেলেছেন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে। অর্থাৎ ভিন্ন ফরম্যাটে হলেও তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই খেলার মধ্যে ছিলেন।

বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন মিরাজ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জানান, গ্লোবাল সুপার লিগ ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট হলেও তারা সবাই খেলার ভিতরেই ছিল। সেটা ওয়ানডে সিরিজে দলের জন্য ভালো হবে। বিশেষ করে ফাইনালে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে সৌম্য সরকারের দেড়শোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংসকে মিরাজ বড় করে দেখছেন। তার বিশ্বাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সৌম্যর রানে ফেরা বেশ কাজে দেবে।

আজ রোববার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই ৪ ক্রিকেটার প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘খুবই ভালো একটা দিক। দেখেন ওরা তিনজন খেলার ভেতর আছে। অনুশীলনের চেয়ে তো খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওরা খেলার ভেতর আছে, একই রকম কন্ডিশনে আছে। ওরা টিমের সঙ্গে জয়েন করবে। আশা করি, ওদের অবদানটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সৌম্য ভালো খেলেছে, এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট সুবিধা হয়ে থাকবে।’


কঠিন হবে ২০০ রানের লক্ষ্যও, মনে করে দুই দলই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

কঠিন হবে ২০০ রানের লক্ষ্যও, মনে করে দুই দলই

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে প্রায় ৪৯ ঘণ্টার বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ঢাকা টেস্টের দেড় দিন। আজ ৯৮ ওভার খেলার কথা থাকলেও তৃতীয় দিনে মাঠে গড়িয়েছে মাত্র ৩২.৩ ওভার।

শুক্রবার দুপুর ১২ টায় খেলা শুরুর সময় বলে দেওয়া হলো, খেলা হবে বেলা বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। কিন্তু তা আর হয়নি। বেলা পৌনে তিনটায় আলোর স্বল্পতায় সেই যে খেলা বন্ধ হলো, আর শুরু করা গেলো না। মানে আজকের নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা হয়নি।

দেড় দিনের বেশি সময় বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় ধুয়েমুছে গেছে। বাকি আছে দুদিন। আকাশের মত উইকেটের অবস্থাও বিশেষ ভালো না। এ উইকেটে আসলে কত রানের লিড হতে পারে নিরাপদ? কিউইদের কত রানের চ্যালেঞ্জ দিলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের?

আজ দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থক সবার মনে ঘুরে ফিরে এ প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে। শুক্রবার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো এ প্রশ্ন।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করা গ্লেন ফিলিপস আর বাংলাদেশের অফস্পিনার নাঈম হাসান দুজনের কাছেই রাখা হয়েছিল এ প্রশ্ন।

গ্লেন ফিলিপস মনে করেন, ১৮০ থেকে ২০০ রানের টার্গেট তাড়া করাই হবে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ কিউই অলরাউন্ডারের কথা, ‘সামনের দুদিন যদি উইকেটের চরিত্র পাল্টে না যায়, এমনই থাকে; তাহলে ২০০ রান করাও বেশ কঠিন।’

বাংলাদেশের অফস্পিনার নাঈম হাসানের আশা, তারা ২০০ থেকে ২২০ রানে লিড নিতে পারবেন। নাইমের কথা, ‘আমরা এখন ৩০ রানে এগিয়ে আছি। আশা করি এ লিডটা দুশো পেরিয়ে যাবে। যদি দুশো রানের বেশি লিড নেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে জিতবো ইনশাআল্লাহ।’

নিউজিল্যান্ড ৫৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে আজ বাকি ৫ উইকেটে আরও ১২৫ রান যোগ করেছে। বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন গ্লেন ফিলিপস। বাংলাদেশের তিন স্পিনার তাইজুল, নাঈম ও মিরাজকে হাত খুলে খেলে চাপের মুখেও রান করেছেন ফিলিপস। ৭২ বল খেলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে ৮৭ রান করেন এ ২৬ বছর বয়সী কিউই অলরাউন্ডার।

এখন দেখার বিষয়, ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে কাল শনিবার চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে থামে। বুক ভরা সাহস ও আস্থায় ফিলিপসের ভূমিকায় অবতীর্ন হন কে?


বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

বার্তাবেলা ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল মিনহাজুল আবেদিন উপাখ্যান। ১৯৯০ সালে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপে ও একই বছর অস্ট্রেলেশিয়া কাপে টিম বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেওয়া দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবসময়ের অন্যতম দক্ষ ও সেরা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ থেকে আর জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক নন।

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে দেশের ক্রিকেটের আরেক উজ্জ্বল তারকা ও বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।

বলে রাখা ভালো, ক্লাব ক্রিকেট আশির দশকের শুরুতে আবাহনীতে এক সঙ্গে খেলেছেন লিপু আর নান্নু। লিপু ছিলেন আবাহনীতে নান্নুর প্রথম অধিনায়ক। একইভাবে ৮৬ সালে প্রথম এশিয়া কাপেও গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্যাপ্টেন্সিতেই খেলেছেন নান্নু।

জাতীয় দলে লিপুর পর অধিনায়কও হয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এবার নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক হলেন লিপু। ২০১৬ থেকে টানা ৭ বছরের বেশি সময় প্রধান নির্বাচক ছিলেন নান্নু। তারও আগে প্রথম নির্বাচক হয়েছিলেন ২০১২ সালে। আজ সে নির্বাচক পদের ইতি নান্নুর। 

কিভাবে দেখছেন ব্যাপারটিকে? কেমন লাগছে? অনুভূতি কী?

এটা বিসিবির এখতিয়ার। বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। প্রধান নির্বাচক পদে ৭ বছর আর নির্বাচক পদে আরও ৫ বছর- মোট ১২ বছরের বেশি সময় আমি নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি, সেটাও কম নয়।’

এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও অন্য কথা প্রসঙ্গে নান্নুর মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি আক্ষেপ। তার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না, মানে তিনি আর প্রধান নির্বাচক থাকছেন না, এ বিষয়ে তার সঙ্গে বোর্ডের নীতি-নির্ধারকদের কেউ কোনো কথা বলেননি।