শেয়ার বাজার

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
আগামী ৪ মে শুরু ভোটগ্রহণ, চলবে চার ধাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আগামী ৪ মে শুরু ভোটগ্রহণ, চলবে চার ধাপে

বার্তাবেলা ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। সারাদেশে চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আগামী ৪ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে তা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে ২৭তম কমিশন সভা শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।

ইসি সচিব জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা, পবিত্র রমজান মাস ও বর্ষাকাল— এ তিনটি বিষয় নিয়ে ভাবছে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী উপজেলার সংখ্যা ৪৫২টি। চার ধাপে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ তথা শেষ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়।

ইসি সচিব আরও জানান, প্রথম ধাপে ৪ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত তফসিল ও উপজেলার নাম জানানো হবে।

দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় গত বছরের জুন মাসে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চলতি বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ আরও কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করতে হবে ইসিকে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি। সাধারণত সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন করা হয় না। একাধিক ধাপে এ নির্বাচন হয়। এবারও ধাপে ধাপে নির্বাচন করার চিন্তা করছে ইসি।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। বর্তমানে দেশে ৪৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপযোগী হয়ে আছে। জুনের মধ্যে এসব উপজেলায় নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে অল্পসংখ্যক ছাড়া প্রায় সবগুলো উপজেলা নির্বাচন উপযোগী হবে।

Dummy Ad 1

বিডিআর বিদ্রোহ
'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বার্তাবেলা ডেস্ক: পনেরো বছর আগে ঘটা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, “অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে।”

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা অর্পন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, “রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেডকোয়ার্টার্স (প্রাক্তন বিডিআর হেডকোয়ার্টার্স ) ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি নেই।”

“চূড়ান্ত বিচার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণই বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে;” তিনি যোগ করেন।

গত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলার সময়, পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলস এর (বর্তমান বিজিবি) কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।

বিএনপির উদ্বেগ

পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

পরে মঈন খান বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি; কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে? আর, ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন?

''এছাড়া, ২০১১ সালে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনো বিলম্বিত হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে 'অনেকে জড়িত'

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন যে অনেকে এখানে (পিলখানা হত্যাকাণ্ড) জড়িত ছিলো। এগুলোর তদন্ত শেষ করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড। কাজগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক বিচারও হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় বনানীর সামরিক কবরস্থানে তিন বাহিনীর প্রধান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের নিকটজন উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্রোহের একদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে। সেই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে, বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা হয়।

হত্যা মামলার বিচারে, ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া, ২৭৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তি খালাস পান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত, বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

অন্যদিকে, বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।


রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষি বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪

রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষি বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম ব্যাচ কারারক্ষি ও মহিলা কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১০ মার্চ) সকাল ৯ টায় কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম ব্যাচ কারারক্ষি ও মহিলা কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারা মহা পরিদর্শক আনিসুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, কারাগারে বসে এখন কয়েদিরা বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন। বন্দীদের শ্রম কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে সরকার কারা অভ্যন্তরে কয়েদীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের উৎপাদিত এসব পণ্য বিক্রয়ের লভ্যাংশের অর্ধেক কারাবন্দী হস্তশিল্পীদের দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দীদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে ও অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।

কারাগারে যেনো কেউ জঙ্গি কার্যক্রম বা নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখতেও নির্দেশনা দেন ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ও ডেপুটি জেলারদের র‍্যাংক ব্যাচ প্রদান করা হয়।

এবারের ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম ব্যাচ কারারক্ষি ও মহিলা কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ১১ জন ডেপুটি জেলার, ৩৪১ জন কারারক্ষি এবং ২৯ জন মহিলা কারারক্ষি অংশ গ্রহণ করেন। 

বুনিয়াদি এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি গত ২০সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১০মার্চ সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। এতে কমান্ড্যান্ট কালাম হোসেনের তত্ত্বাবধায়নে ডেপুটি জেলার হিসেবে ১১ জন, কারারক্ষি হিসেবে ৩৪১ জন ও মহিলা কারারক্ষি হিসেবে ২৯ জন প্রশিক্ষন নেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কারা মহাপরিদর্শক এএসএম আনিসুল হক, কমান্ড্যান্ট কামাল হোসেন, প্রধান প্রশিক্ষক ওবায়দুর রহমান, কোর্স কো-অর্ডিনেটর নিজাম উদ্দিন,প্যারেড কমান্ডার ফারুক হোসেন, সিনিয়র প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন, প্রশিক্ষক হাবলু বাদশা,উপ-প্রশিক্ষক শ্রী সুরজিত চন্দ্র সরকার প্রমুখ।



রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪

রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণাল

আসন্ন রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল করবে কী না এমন সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রায়ের কপি না পাওয়ায় এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রায়ের কপি পাওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান। এখনো রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। রায়ের কপি পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আগামীকাল সোমবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

এর আগে এদিন দুপুরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।