শেয়ার বাজার

গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া যেসব শিশুরা বেঁচে আছে তারা গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে, এমনকি এসব শিশুর কান্না করার মতো শক্তিটুকুও অবশিষ্ট নেই। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল রোববার সিবিএস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, আরও কয়েক হাজার শিশু আহত হয়েছে অথবা তারা কোথায় আছে সেটাও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। অনেক শিশু এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে... আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে এত শিশুর মৃত্যু দেখিনি।

তিনি বলেন, আমি এমন শিশুদের ওয়ার্ডে গিয়েছি যারা মারাত্মক রক্তশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে। পুরো ওয়ার্ড একেবারেই নিস্তব্ধ। কারণ সেখানকার বাচ্চারা এতটাই দুর্বল যে, তাদের কান্না করার শক্তিটুকুও আর অবশিষ্ট নেই।

আরও পড়ুন: অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে। ফলে সেখানে মানবিক সহায়তাবাহী ট্রাকগুলোকে নিয়ে যাওয়াটা ছিল খুব বড় একটি আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ।

ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) তথ্য অনুযায়ী, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন এখন তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থাটি আরও সতর্ক করেছে যে, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে সেখানকার মানুষ দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে বিপুল পরিমাণ হতাহত, গাজায় খাদ্য সংকট এবং এই উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।

Dummy Ad 1

সূর্যগ্রহণের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে হাজারো মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ, ২০২৪

সূর্যগ্রহণের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে হাজারো মানুষ!

প্রায় ৫৪ বছর পর আগামী ৮ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে, নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বা বিরল ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে। এইদিন চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে দিনের বেলাতেও অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। ফলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে, এইদিন শতাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এইসব দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন সহস্রাধিক মানুষ। 

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন জানিয়েছে, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টের একদল গবেষক ২০১৭ সালের সূর্যগ্রহণের সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, সূর্যগ্রহণের তিন দিন আগে এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজারেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

 গবেষকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন গাড়ি দুর্ঘটনায় ১১৪টি মৃত্যু ঘটে। এখন থেকে সাত বছর আগে (২০১৭) সূর্যগ্রহণের সময় দৈনিক ১৮৯টি মৃত্যু ঘটেছিল। যা স্বভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩১ শতাংশ বেশি।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন মতে, সূর্যগ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রে এবার প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য রাস্তায় নামবে। তারা যেসব এলাকা থেকে ভালভাবে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে সেসব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করে।  ওই সময় চারদিকে অন্ধকার থাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 জানা গেছে, বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। সুর্যগ্রহণের কারণে এই রাজ্যগুলোর অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

 মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, আগামী ৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। 


গাজার ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ নেই, অনাহারে লাখ লাখ শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজার ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ নেই, অনাহারে লাখ লাখ শিশু

বার্তাবেলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের কড়া অবরোধ ও নির্বিচার হামলার মুখে থাকা ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার অপুষ্টিতে ভোগা মায়েরা যেসব শিশুদের জন্ম দিচ্ছেন তারা অসুস্থ হয়েই জন্মাচ্ছে, ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ তৈরি হচ্ছে না আর তাতে নবজাতকরা ওজন হারাচ্ছে; জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

রাফা হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে শিশুরোগের চিকিৎসক জাবর আল-শায়ের একটি নবজাতককে দেখান, জন্মের পর যারা ওজন ছিল সাড়ে সাত কেজি, মাত্র দেড় মাসের মধ্যে শিশুটি ২ কেজি ওজন হারিয়ে এখন সাড়ে পাঁচ কেজি হয়েছে।

“এইটা খারাপ। এটা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সব সময় ওর বুকে জ্বালা হচ্ছে আর পেট ব্যথা করছে,” বলেন আল-শায়ের।  

শিশুটির মা শরুক শাবান তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান কিন্তু তিনি নিজেই খেতে পান না। দক্ষিণ গাজার অধিকাংশ মানুষের মতো তিনিও অল্প একটু রুটি ও টিনজাত খাবারের ওপর বেঁচে আছেন।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, আহত রোগীরা ক্ষুধার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারছেন না। 

রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। কারও পক্ষে এখানে যাওয়াও অত্যন্ত কঠিন। এখানে ত্রাণ সহায়তাও বিরল। কখনও ত্রাণ পৌঁছলে ক্ষুধার্ত ও বেপরোয়া ফিলিস্তিনিরা সেগুলো ঘিরে ধরে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।   

ত্রাণ কর্মীরা জানিয়েছেন, এখানে তারা ক্ষীণ হয়ে যাওয়া লোকজনকে দেখেছেন, চোখমুখ শুকিয়ে যাওয়া এসব লোকদের দেখেই বোঝা যায় এরা ক্ষুধার্ত।


গাজার ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ নেই, অনাহারে শিশুরা

ছোট্ট ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার সব জায়গায় ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়েছে। এর ২৩ লাখ বাসিন্দার সবাই ক্ষুধার্ত। তারা গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলার মধ্যে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ভূখণ্ডটির অনেক এলাকা ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।

গাজার মিশরীয় সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকাগুলো আমদানী করা খাবারের সীমিত সরবরাহ পেলেও ভূখণ্ডটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চল দুর্ভিক্ষের মুখে আছে বলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ কর্মীরা জানিয়েছেন। এই দুটি এলাকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে।

আরও পড়ুন: হামাসের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

গাজায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সমন্বয়ক শন কেইসি বলেন, “উত্তরাঞ্চলের খাদ্য পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। সেখানে প্রায় কোনো খাবার নেই আর যাদের সঙ্গেই আমরা কথা বলি সবাই খাবার ভিক্ষা চায়।”

গাজার অনাহারে থাকা মানুষদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। ত্রাণ সংস্থাগুলো তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই সেখানে যাওয়ার ও লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিশুরা কতোটা অপুষ্টিতে ভূগছে মূল্যায়ন করার জন্য তারা কতোট মাংস হারিয়েছে হাতের বের মেপে তা বের করার পরিকল্পনা করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

সূত্র: রয়টার্স


ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

বার্তাবেলা ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "আমাদের জবাব আজ থেকে শুরু হল।”

বাইডেন বলেন, ‌‘আমার নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ থেকে শুরু হলো। আমাদের পছন্দমতো সময়ে ও জায়গায় এটি চলতে থাকবে।’

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশের ৮৫টি বেশি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। একাধিক বিমান হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরপাল্লার বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানায় তারা।


গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হন। জর্ডানে ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় তিনজন নিহত ছাড়াও আহত হন আরও ২৫ জন সেনা সদস্য।

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানপন্থি ১৮ যোদ্ধা নিহত

ওই হামলার পর কঠোর প্রতিশোধের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদনের পরদিনই দুই দেশে হামলা চালিয়ে বসলো মার্কিন সামরিক বাহিনী।

খবর: আল-জাজিরার।