শেয়ার বাজার

হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কেউ আপনার চ্যাট পড়তে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কেউ আপনার চ্যাট পড়তে পারবে না

বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। চ্যাট নিরাপত্তা, এইচডি কোয়ালিটি ছবি, ভিডিও আদান-প্রদান করা যায় খুব সহজে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারকারীদের চ্যাট নিরাপদে রাখতে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করেছে। এমন একটি ফিচার রয়েছে, যা অন রাখলে আপনার ফোন হাতে নিলেও অন্য কেউ চ্যাট পড়তে পারবে না।

ব্যবহারকারীরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ব্যক্তিগত চ্যাট লক করতে পারেন। কিন্তু এতে একটা সমস্যা রয়েই গেছে। ফোন লক করতে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়, তা দিয়েই এই চ্যাট লক করতে হয়। সুতরাং কেউ যদি ফোন আনলক করতে পেরে যায়, তাহলে সব চ্যাট তার হাতের মুঠোয়।

তবে এই সব ফিচার থাকার পরও ব্যক্তিগত চ্যাটকে ফুলপ্রুফ রাখতে নয়া সিকিউরিটি ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ। এর নাম ‘সিক্রেট কোড’ ফিচার। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস, উভয় সিস্টেমেই কাজ করবে এই ফিচার। কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে এই ফিচার চালু করবেন, কী কী সুবিধা মিলবে চলুন দেখে নেওয়া যাক-

এই সিক্রেট কোড ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী লকড চ্যাটে কাস্টম পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন। এমনকি নিজের পছন্দমতো নামও দেওয়া যায়। অ্যাপের উপরের দিকে থাকবে এই লকড চ্যাট। ফোন যদি অন্য কারো হাতে পড়েও, এই সব চ্যাট তার পক্ষে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর যদি পেয়েও যান, তাহলেও সিক্রেট কোড ছাড়া খুলবে না। ভুল কোড টাইপ করলে চ্যাট লক অবস্থাতেই থাকবে। অন্য কোনোভাবেই সেই চ্যাটের নাগাল পাওয়া যাবে না।

সিক্রেট কোড ফিচার ব্যবহারের জন্য আগে ডিভাইসের কিছু চ্যাট লক করতে হবে। এজন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে। এবার ব্যবহারকারী যে চ্যাট লক করতে চান, সেটাতে প্রেস এবং হোল্ড করবেন। চ্যাট সিলেক্ট হয়ে গেলে স্ক্রিনের উপরের ডান দিকে থ্রি ডটস মেনুতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ‘লক চ্যাট’ অপশন আসবে। তাতে ক্লিক করতে হবে। এরপর কন্টিনিউতে ট্যাপ করতে হবে ব্যবহারকারীকে। সবার শেষে বায়োমেট্রিক (ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস লক) দিয়ে অথেন্টিকেট করতে হবে। তাহলেই চ্যাট লক হয়ে যাবে। ব্যবহারকারী ‘চ্যাটস’ ট্যাব থেকে সোয়াইপ করে ‘লকড চ্যাটস’ সিলেক্ট করে সেগুলো খুলতেও পারবেন।

এবার সিক্রেট কোড সেট আপের পালা। এজন্য-

>> প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ‘লকড চ্যাটস’ ফোল্ডারে যেতে হবে।

>> এবার ক্লিক করতে হবে স্ক্রিনের উপরে ডান দিকের কোণে থ্রি ডটসে।

>> ‘চ্যাট লক সেটিংস’-এ ক্লিক করতে হবে।

>> বেশ কিছু অপশন আসবে। এর মধ্যে থেকে ‘সিলেক্ট কোড’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

>> এখানে ইউজার তার পছন্দ মতো কোড দেবেন।

>> কোডটি পুনরায় দিতে বলবে হোয়াটসঅ্যাপ। সেই মতো ফের কোড দিয়ে ‘ডান’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই লকড চ্যাটে সিক্রেট কোড ফিচার সেটআপ হয়ে যাবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Dummy Ad 1

হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিট হওয়া মেসেজ যেভাবে ফিরে পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিট হওয়া মেসেজ যেভাবে ফিরে পাবেন

হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপাশি অসংখ্য গ্রুপে যুক্ত থাকেন। পরিবার থেকে বন্ধু, অফিস কলিগ থেকে শুরু করে আরও নানান ধরনের গ্রুপে যুক্ত থাকেন হোয়াটসঅ্যাপে।

অনেক সময় এমন হয় যে, ভুলে জরুরি চ্যাট ডিলিট হয়ে যায়। আবার অনেকেই ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ’ ফিচার অন করে রাখেন। নির্দিষ্ট সময় পর মেসেজ নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। কিন্তু ভুলে যদি কেউ মেসেজ ডিলিট করে ফেলেন কিংবা ফোন বদলানোর সময় সব চ্যাট ডিলিট হয়ে যায়। এতে পড়ে ঝামেলার শেষ থাকে না। তবে চাইলেই কিন্তু এই মেসেজ আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু ইন বিল্ট টুল রয়েছে। যেমন গুগল ড্রাইভ বা আই ক্লাউডে ক্লাউড ব্যাকআপ কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য স্টোরেজ অপশন। এছাড়া কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যারও পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ডিলিট হয়ে যাওয়া ডেটা ফেরত পেতে পারেন ইউজার।

গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট পুনরুদ্ধার করতে-

>> অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে।

>> তারপর ক্লিক করতে হবে ‘চ্যাটস’ অপশনে।

>> সেখানে চ্যাট ব্যাকআপ অপশনে গিয়ে গুগল ড্রাইভ চেক করতে হবে।

>> হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করে ফোন নম্বর যাচাইয়ের পর প্রম্পট এলে রিস্টোর ট্যাপ করতে হবে। ডিলিট হওয়া সব চ্যাট ফের চলে আসবে।

আইফোনে কাজটি করতে-

>> প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে।

>> তারপর ক্লিক করতে হবে ‘চ্যাটস’ অপশনে।

>> এবার চ্যাট ব্যাকআপে গিয়ে আইক্লাউড ব্যাকআপ দেখতে হবে।

>> হোয়াটসঅ্যাপ নতুন করে ইনস্টল করে চ্যাট হিস্ট্রি পুনরুদ্ধার করতে হবে।

ফোনের লোকাল ব্যাকআপ থেকেও পাবেন-

>> প্রথমে ‘ফাইল ম্যানেজার’-এ যেতে হবে।

>> তারপর হোয়াটসঅ্যাপে ক্লিক করে ডাটাবেসে ঢুকতে হবে।

>> এখানে পছন্দের ফাইল শনাক্ত করে নাম বদলে রাখতে হবে ইউজারকে।

>> তারপর হোয়াটসঅ্যাপ পুনরায় ইনস্টল করে সেটআপের সময় রিস্টোর অপশনে ক্লিক করলেই ডিলিট হওয়া সব চ্যাট চলে আসবে।


সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


অনুমতি ছাড়া ওড়ানো যাবে না বিমান, ড্রোন : আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

অনুমতি ছাড়া ওড়ানো যাবে না বিমান, ড্রোন : আইএসপিআর

বার্তাবেলা ডেস্ক: অনুমতি ছাড়া আকাশে রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি, লেজার ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস উড্ডয়ন করছেন। এ ছাড়াও বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান-প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ছাড়াও বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আইএসপিআর আরও জানায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে। এ ছাড়াও বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে।


আগামী ৩১ দিন সতর্কতার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

আগামী ৩১ দিন সতর্কতার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: পলক

নির্বাচনকালীন সরকারের আগামী ৩৪ দিন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে এসে বিভাগের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং অধীন দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩৪ দিন আমাদের দৈনন্দিন কাজ, সবাইকে অনুরোধ করবো এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা সবাই সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কারণ টেলিকম কমিউনিকেশন যদি চলমান না থাকে তাহলে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য সব কিছুই কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। আমাদের ডাক যদি চালু না থাকে তাহলে আমাদের যে লজিস্টিকস, আমাদের সব পণ্য আনা-নেওয়া করা, সেটাই কিন্তু দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যাবে।

পলক বলেন, এখন আমরা দেখছি হরতাল-অবরোধের নামে একটা রাজনৈতিক দল, একটা রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে প্রতিদিন নিরীহ মানুষের ওপরে আক্রমণ করছে। একজন ট্রাকচালক মারা গেছেন। অসংখ্য গাড়ি পোড়াচ্ছে, রাস্তায় অবরোধ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে খুব সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডাক বিভাগকে চলমান রাখতে হবে সব পণ্য, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত চিঠিপত্র লেনদেন করা; আমাদের বিটিআরসিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অপরদিকে, আমাদের স্যাটেলাইট কমিউনকেশনকেও চালু রাখতে হবে বিনোদন, যোগাযোগ এবং যাতে আমাদের টেলিভিশন সেন্টারগুলো নির্বিঘ্ন কাজ করতে পারে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো দৈনন্দিন কাজগুলো অত্যন্ত সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করবো। যেন নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের কোনো ধরনের যোগাযোগ এবং সেবা বিঘ্ন না ঘটে। আমাদের রাষ্ট্রীয়, সরকার এবং জনগণের কোনো সেবা যেন ব্যহত না হয়।’