শেয়ার বাজার

কুমিল্লায় ৭ খুন ৩৩ নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ৪১৬ টি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

কুমিল্লায় ৭ খুন ৩৩ নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ৪১৬ টি মামলা

বার্তাবেলা ডেস্ক: কুমিল্লায় ডিসেম্বর মাসে ৭ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনা ১০ টি এবং নারী- শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৩ টি। সিঁধেল চুরি, পশু চুরিসহ মোট ২৬ টি চুরি এবং মাদক আইনে ২১০টি মামলা সহ বিভিন্ন অপরাধে জেলায় মোট ৪১৬ টি মামলা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

রোববার ১৪ জানুয়ারী সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে ৪৬ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, ৩০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬৮ জন। জেলায় ১১ টি বাল্য বিবাহ রোধ করা হয়েছে, একই সাথে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ৫ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং একজনকে কারাদ- প্রদান করা হয়। ডিসেম্বর মাসে ১৯৩টি গ্রাম আদালতে ৭৪৫ টি মামলা দায়ের ও ৮২৭ মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মাদক ও চোরাচালান সংক্রান্ত মোট ১৭৯ টি মামলা দায়ের ও ৪৮ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক ওই মাসে ২৪১ টি মোবাইল কোর্ট ৪৭২টি মামলায় ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় সহ ২৮ জনকে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নিচু জমিতে বালু দ্বারা ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ১৫ টি অভিযানে ১০ টি মামলায় ৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে সভার শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও সফল করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।

সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা -৬ সদরের সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা -১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সবুর, জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম (বার),

সিভিল সার্জন ডা.নাসিমা আক্তার, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানগন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিনিধি- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রধান, উপা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা ।

সভায় গোমতী নদীর পাড়ের মাটি কাটা,অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন , জিবির নামে চাঁদা উঠানো, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বাল্য বিবাহ, দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংসহ জেলার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Dummy Ad 1

২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

বার্তাবেলা: ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্টের আজকের রায় যুগান্তকারী। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বিনা পয়সায় প্রতিবন্ধীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত সপ্তাহে ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত।

এর আগে ১১৪ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।  একই বিষয়ে পরে ১৭১ জন পৃথক আরও তিনটি রিট দায়ের করেন।

রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। মো. মাহাবুব শেখ, মো. আবু জাহিদ, ফাহিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পার্থ প্রতীম, শাজাহান শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুল ইসলাম, বৃষ্টি রানি রায়, মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও মো. নূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পালন করেন।

বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার পিতা। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।


বিএনপির ১১ জনের কারাদণ্ড গুলশান থানার মামলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপির ১১ জনের কারাদণ্ড গুলশান থানার মামলায়

বার্তাবেলা: পাঁচ বছর আগে গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে পৃথক তিন ধারায় সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস, ১৪৭ ও ৪২৭ ধারায় দুই বছর করে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সকল ধারার সাজা একইসাথে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। ফলে আসামিদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. মামুন চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, অসীম ওরফে অসীম আকরাম, নুরুল ওরফে নূর হোসেন, মো. শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন, আমিনুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রান্ত, জয়নাল, মীর মোহাম্মদ স্বপন। তারা সবাই বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে অসীম ওরফে অসীম আকরাম ও মো. শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকার গুলশান এলাকায় বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হন। তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে মামলায় অভিযোগ করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন ২৩ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।