শেয়ার বাজার

সাবেক এমপি নিক্সন-মির্জা আজম-ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক এমপি নিক্সন-মির্জা আজম-ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মির্জা আজম ও মো. আবদুল ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন ও ওদুদের স্ত্রী মর্জিনা ওদুদকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এছাড়া পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এমডি ইউসুফ আলীসহ চারজন, প্রিমিয়ার প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী ও মির্জা আজমের এবং দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম সাবেক এমপি ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

নিক্সনের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নিক্সন চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে এরই মধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। এছাড়াও সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

মির্জা আজমের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহারপূর্বক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে এরই মধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মির্জা আজম ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশ থেকে পলায়ন করলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র বিনষ্টসহ অনুসন্ধানকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মির্জা আজমের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

ওদুদের আবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

Dummy Ad 1

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বার্তাবেলা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। এদিন আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন।

এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন।


হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর, ২০২৩

হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা দেওয়ার নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, আগামী ২৯ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চগুলো গঠন করা হলো। ’

নোটিশে ৫২ একক ও দ্বৈত বেঞ্চের নাম বিচারিক এখতিয়ারসহ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৯টি একক বেঞ্চ রয়েছে।


বিচারপতিদের অপসারণ: ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর, ২০২৪

বিচারপতিদের অপসারণ: ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সংবিধানের এ-সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ পুরোটাই পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরলো সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতে।

রোববার (২০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, অন্যদিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আব্দুল জাব্বার ভূইয়া, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি মোহাম্মদ জেনারেল আরশাদুর রউফ। এসময় ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি জানান, এই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয় প্রধান বিচারপতি ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারপতিকে নিয়ে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ পর্যন্ত বিধান ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যম বাতিল করা হয়েছিল। এগুলো পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ।

এই রায় ঐতিহাসিক বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।