শেয়ার বাজার

পাকা চুলে তেল ব্যবহার করলে কি কালো হয়, কি বলছেন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

পাকা চুলে তেল ব্যবহার করলে কি কালো হয়, কি বলছেন চিকিৎসক

আজকাল অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া অনেক মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। তারা বিভিন্নভাবে পাকা চুল কালো ও ঘন করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে চুল যদি পেকে যায়, তাহলে কি শত চেষ্টায় আবার চুল কালো করা সম্ভব? হোক আর না হোক, চেষ্টা করতে সমস্যা নেই। এ জন্য সবাই চেষ্টা চালিয়ে যান।

চুল পেকে যাওয়াকে যারা মেনে নিতে পারেন না, তারাই মূলত চুল কালো করার চেষ্টা করেন। এ জন্য মাথায় বিভিন্ন ধরনের তেল ও উপকরণ ব্যবহার করেন। অনেকের ধারণা, মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে চুল কালো হবে। কিন্তু আসলেই কি তাই? সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। যেখানে ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আঁচল পন্থ এ ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

চুল পাকে কেন: বয়সের সঙ্গে নানা কারণেই চুলের ফলিকলের পিগমেন্ট কোষ নষ্ট হতে থাকে। এতে চুলের প্রাকৃতিক রংও হারিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে চুল সাদা বা পাকতে শুরু করে। আর এই পদ্ধতিকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কারো যদি বয়স ২০ হওয়ার আগেই চুলে পাক ধরে, তাহলে সতর্ক হতে হবে।

তেল ব্যবহারে কি পাকা চুল কালো হয়: পাকা চুলের সমস্যা কমাতে মাথায় বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করেন অনেকে। কেউ আবার পাকা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি তেলও ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে ডা. আঁচল জানান, মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে। তবে পাকা চুল যে কালো হবে, সেটি নয়।

প্রসঙ্গত, চুল ভালো রাখতে সাধারণ কিছু নিয়ম মানা উচিত। নিয়মিত স্ক্যাল্প ক্লিনজিং, কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার এবং হেয়ার অয়েলিং করা যেতে পারে। পাশাপাশি হেয়ার স্প্যাও করাতে পারেন মাঝে মাঝে। তবে বেশি সমস্যা মনে করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

Dummy Ad 1

মানসিক প্রশান্তি খুঁজতে ৯০ শতাংশ মানুষ পরকীয়া করেন, বলছে সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মানসিক প্রশান্তি খুঁজতে ৯০ শতাংশ মানুষ পরকীয়া করেন, বলছে সমীক্ষা

বার্তাবেলা ডেস্ক: বিবাহবহির্ভূত বা পরকীয়া সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর পরিণতি কখনো কখনো হতে পারে মারাত্মক। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, মনোমালিন্য, মতের অমিল, একে অপরকে সময় না দেওয়া ইত্যাদি কারণে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। 

সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, যারা ঘন ঘন ভ্রমণ করেন বা বাড়ির বাইরে থাকতে পছন্দ করেন, তারা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়েন।

তবে পরকীয়া সব সময় শারীরিক আকর্ষণেই গড়ে ওঠে তা কিন্তু নয়। সমীক্ষা বলছে, বেশিরভাগ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক যৌন আসক্তি বা যৌন মিলনের বিষয়ে নয় বরং মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন: হাঁটু মুড়ে বসে কেন প্রোপোজ করা হয়?

একটি গবেষণা বলছে, মাত্র ১০ শতাংশ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক যৌন মিলনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। অন্যদিকে ৯০ শতাংশ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে মানুষ জড়িয়ে পড়েন মানসিক প্রশান্তি খুঁজতে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলার আরও একটি কারণ হলো দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমি বোধ করা।

‘গ্লিডেন’ নামক ফ্রান্সভিত্তিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের একটি ডেটিং অ্যাপের ২০ শতাংশই ভারতীয়। এটি ভারতে একটি সমীক্ষা চালায় ও নারীদের জিজ্ঞাসা করে, কেন তারা স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

সমীক্ষা বলছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ২০-৪০ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। যদিও অনেক দম্পতিই তাদের সামাজিক সম্মান, সন্তানের ভবিষ্যৎ কিংবা পরিবারের কথা চিন্তা করে বিবাহবিচ্ছেদ থেকে সরে দাঁড়ান।

গ্যালাপ পোলের একটি সমীক্ষা বলছে, আমেরিকার ৯১ শতাংশ পুরুষ ও নারী উভয়ই বিশ্বাসঘাতকতাকে নৈতিকভাবে ভুল বলে মনে করেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক পরিবার, বিবাহ ও সম্পর্কের ভিত্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। এটি নৈতিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি ও বিশ্বাসভঙ্গের ফলাফল।

বিজ্ঞানীদের মতে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মূলত প্যাথলজিক্যাল। যাই হোক, পরকীয়া এড়ানোর সমাধান হলো দম্পতিদের মধ্যে ভালো বোঝাপোড়া, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও শারীরিক সংযোগ থাকা।


মাছের মাথা খেলে কী কী হয়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

মাছের মাথা খেলে কী কী হয়?

মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ না হলে অর্ধেক দিন খাবার হজম করা মুশকিল হয় অনেকেরই। অনেকের আবার প্রতিদিনই মাছের কোনো না কোনো পদ রাখতে হয় পাতে।

তবে এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা মাছের মাথাটা খেতে বেশি ভালবাসেন। মাছের মাথার স্বাদ রীতিমতো সুস্বাদু। তবে মাছের মাথা খাওয়া শরীরের জন্য কতটা ভালো?

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মাথা থেকে প্রায় সবরকম পুষ্টিগুণই পাওয়া যায়। এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে আবার স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও বেশি থাকে।

আরও পড়ুন: স্তন্যদান নিয়ে ৭টি ভুল ধারণা এবং যেসব বিষয় আপনার জানা উচিৎ

মাছের মাথায় কোলেস্টেরল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই কম। মাছের মাথা সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ। এতে তেমন কার্বোহাইড্রেট নেই। বরং প্রোটিন আছে অনেকটাই।

মাছের মাথা খাবেন কেন ?

মানসিক অবসাদ কমায়

মাছের মাথায় একটা বিশেষ ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটির নাম ডোকোসাহেক্সাইনোয়িক অ্যাসিড। এটি মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।

হার্টের রোগ দূর করে

হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে মাছের মাথা। এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ একেবারেই কম। তাই মাছের মাথা খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ বা মেন্টাল স্ট্রেস কমাতেও মাছের মাথার বড় ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা থ্রি অ্যাসিডই এর কারণ।


হাঁটু মুড়ে বসে কেন প্রোপোজ করা হয়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

হাঁটু মুড়ে বসে কেন প্রোপোজ করা হয়?

আর কদিন পরেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারি। রোজ ডে দিয়ে শুরু হওয়া ভ্যালেন্টাইনস উইকের দ্বিতীয় দিন। ৮ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে প্রপোজ ডে হিসেবে পালিত হয়।

এ দিনে প্রেমে পড়া প্রতিটি ব্যক্তি তার হৃদয়ের কথা ও অনুভূতি প্রকাশ করেন সঙ্গীর কাছে। এমনকি প্রিয়জনের পক্ষ থেকেও সম্মতি আশা করেন।

প্রায়শই ছবিতে প্রোপোজের সময় হাঁটু মুড়ে বসে প্রেমিকাকে প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেখেছেন।

তবে এটি কিন্তু শুধুই রোমান্টিক অঙ্গভঙ্গি নয়, এর পেছনেও আছে ইতিহাস। চলুন হাঁটু মুড়ে প্রোপোজের রহস্য জেনে নেওয়া যাক-

হাঁটু মুড়ে বসে প্রপোজ করা নাইটহুড অর্থাৎ মধ্যযুগের ঐতিহ্য। তখন বিবাহ ও ধর্ম একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। তখন পুরুষরা প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন নতজানু হয়ে।

একজন ব্যক্তির হাঁটু মুড়ে বসে প্রোপোজ করা প্রার্থনা, সমর্পণ, সম্মান ও ভালোবাসার সঙ্গে জড়িত।

আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো ব্যক্তি হাঁটু মুড়ে বসে আপনাকে প্রস্তাব দেয়, তাহলে এটি কেবল ভালবাসা নয়, আপনার গুরুত্বও প্রকাশ করে।

তবে হাঁটু মুড়ে বসলেই হবে না, প্রোপোজের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক শব্দ নির্বাচন ও অনুভূতি প্রকাশ করা।

অনেকে লাখ টাকা খরচ করে তাদের সঙ্গীকে কোনো দামি জায়গায় নিয়ে প্রোপোজ করেন। আবার অনেকে আছেন প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি দিয়ে তাদেরকে প্রোপোজ করেন।

আজকের দিনে প্রিয়জনকে প্রেমের বা বিয়ের প্রস্তাব দিতে অবশ্যই এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন।