শেয়ার বাজার

পাকিস্তানে জোট সরকার গড়তে কৌশলী নওয়াজ ও জারদারির দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাকিস্তানে জোট সরকার গড়তে কৌশলী নওয়াজ ও জারদারির দল

বার্তাবেলা ডেস্ক: পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফলে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠনই একমাত্র পথ বলে মনে করা হচ্ছে। 

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ১০১টি আসনে। তাঁদের প্রায় সবাই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের সমর্থিত। তবে নির্বাচনের মাঠে পিটিআই এগিয়ে থাকলেও সরকার গঠনে তৎপরতা বেশি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের।

এর আগে পিএমএল-এন জোট গড়েছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে। তাদের জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) ক্ষমতায় বসেছিল। তবে এখন জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে পিপিপিকে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা ভাগাভাগির সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে সতর্কভাবেই আলোচনা করছেন তাঁরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রেও গোপনীয়তা রাখা হচ্ছে। পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তান প্রদেশে জোট সরকার গঠনের বিষয়টিও আলোচনায় আছে।

আজ রোববার লাহোর ও ইসলামাবাদে বিভিন্ন দলের নেতাদের তৎপরতা বেশি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রস্তাবিত জোট গঠনের প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে আজ পিপিপির নেতা আসিফ আলী জারদারি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈঠকে অংশ নেবেন। জোট সরকারের এই আলোচনার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট পদটি কে পাবেন, তা নিয়েও দর-কষাকষি হবে। সে কারণে এটি নিয়েও আলোচনা চলছে।

এদিকে নির্বাচন–পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করতে পিএমএল-এনের আমন্ত্রণে এমকিউএম-পি দলের প্রতিনিধিরা লাহোরে আছেন। নির্বাচনের পরদিন পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেন। এরপর তিনি তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সরকার গঠনের ব্যাপারে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর নির্দেশ দেন।

পিএমএল-এর অভ্যন্তরীণ একটি সূত্রের বরাতে ডন জানতে পেরেছে, গতকাল শনিবার পিএমএল-এন নেতারা কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে পিপিপিকে সমর্থন দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। তবে তাঁরা এবার আর তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না, যেমনটা তাঁরা পিডিএম জোট গড়ার সময় করেছিলেন।

বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিএমএল-এন মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, শাহবাজ শরিফ ও আসিফ আলী জারদারির মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তবে তাঁরা দুজনই জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে নিজ নিজ দলের নেতাদের পরামর্শ নেবেন।

পিএমএল-এন পিটিআই কিংবা পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওরঙ্গজেব বলেন, ‘পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্রদের সঙ্গে আলোচনার কোনো ইচ্ছা পিএমএল-এনের নেই।

প্রস্তাবিত জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে শাহবাজ শরিফও আছেন। সূত্র বলছে, জোট সরকার গঠনের বিষয়ে পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে আরও আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, প্রেসিডেন্ট কে হবেন, কোন দলের নেতাকে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, এমন আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলোর জন্য অনেক আলোচনার প্রয়োজন।

ইতিমধ্যে মডেল টাউনে অনুষ্ঠিত দলীয় এক বৈঠকে শাহবাজ শরিফ সব রাজনৈতিক দলকে পাকিস্তানের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।বৈঠকের সভাপতি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে শাহবাজ বলেন, ‘আমরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করব। নতুন সরকারের লক্ষ্য হবে জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে স্বস্তি দেওয়া।’

বৈঠকে জানানো হয়, পিএমএল-এন কেন্দ্রীয়ভাবে জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে অন্য দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এদিকে পিএমএল-এন বিভিন্ন তৎপরতা চালালেও সরকার গঠনসংক্রান্ত পরিকল্পনা নিয়ে পিপিপির নেতাদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা গেছে।

পিপিপির নেতারা ডনকে গতকাল বলেন, ধরেই নেওয়া হচ্ছে যে তাঁদের দলের নেতারা কেন্দ্রীয়ভাবে পিএমএল-এনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কীভাবে এমন ধারণা করা হচ্ছে, তা নিয়ে তাঁরা ‘হতবাক’। কারণ, এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। ওই নেতাদের দাবি, দলের ভেতরেও এমন আলোচনা হয়নি।

পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ডনকে বলেন, ‘ক্ষমতা ভাগাভাগি কিংবা কেন্দ্রীয় জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করিনি।’

সরকার গঠনের ব্যাপারে পিএমএল-এন ও পিপিপি একমত হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের এমন খবরের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিলাওয়াল বলেন, ‘এমন কিছু ঘটেনি। আমরা এখনো নির্বাচনের ফল এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার মধ্যে আছি। যে নির্বাহী কমিটি আমাকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে, তারা আবারও বৈঠকে বসবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে।’

Dummy Ad 1

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলো। সোমবার (২৫ মার্চ) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ প্রস্তাবে  ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।

এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। যদি কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি পাস হয়নি। সেদিন মস্কোর অভিযোগ ছিল, ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপ তৈরি করছে না।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১ দেশ। বিপক্ষে দেয় তিন দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে একটি দেশ।

তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছিলেন, এই খসড়াটি অত্যন্ত রাজনীতিকরণ করা হয়েছে ও এতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কার্যকর সবুজ সংকেত রয়েছে।


অবশেষে গাজায়-ইসরায়েলের চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২৩

অবশেষে গাজায়-ইসরায়েলের চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

বার্তাবেলা: গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি কার্যকর হয়। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কিছু বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাওয়া গেছে হতাহতের খবরও। তাছাড়া যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছে তেলআবিব।

এর আগে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা জানায়। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে প্রাথমিকভাবে ১৩ বেসামরিক জিম্মিকে মুক্ত করবে হামাস। এসময় কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল।

এদিকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। কাফার শুবা, হালতা ও আল-জেবিন শহরের উপকণ্ঠে এসব বোমা হামলা চালানো হয়।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্য করে সংগঠনটির যোদ্ধারা হামলা চলিয়েছে। এতে বেশ কিছু ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়।


সূর্যগ্রহণের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে হাজারো মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ, ২০২৪

সূর্যগ্রহণের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে হাজারো মানুষ!

প্রায় ৫৪ বছর পর আগামী ৮ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে, নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বা বিরল ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে। এইদিন চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে দিনের বেলাতেও অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। ফলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে, এইদিন শতাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এইসব দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন সহস্রাধিক মানুষ। 

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন জানিয়েছে, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টের একদল গবেষক ২০১৭ সালের সূর্যগ্রহণের সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, সূর্যগ্রহণের তিন দিন আগে এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজারেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

 গবেষকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন গাড়ি দুর্ঘটনায় ১১৪টি মৃত্যু ঘটে। এখন থেকে সাত বছর আগে (২০১৭) সূর্যগ্রহণের সময় দৈনিক ১৮৯টি মৃত্যু ঘটেছিল। যা স্বভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩১ শতাংশ বেশি।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন মতে, সূর্যগ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রে এবার প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য রাস্তায় নামবে। তারা যেসব এলাকা থেকে ভালভাবে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে সেসব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করে।  ওই সময় চারদিকে অন্ধকার থাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 জানা গেছে, বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। সুর্যগ্রহণের কারণে এই রাজ্যগুলোর অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

 মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, আগামী ৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।