শেয়ার বাজার

সূর্যগ্রহণের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে হাজারো মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

সূর্যগ্রহণের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে হাজারো মানুষ!

প্রায় ৫৪ বছর পর আগামী ৮ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে, নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বা বিরল ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে। এইদিন চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে দিনের বেলাতেও অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। ফলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে, এইদিন শতাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এইসব দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন সহস্রাধিক মানুষ। 

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন জানিয়েছে, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টের একদল গবেষক ২০১৭ সালের সূর্যগ্রহণের সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, সূর্যগ্রহণের তিন দিন আগে এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজারেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

 গবেষকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন গাড়ি দুর্ঘটনায় ১১৪টি মৃত্যু ঘটে। এখন থেকে সাত বছর আগে (২০১৭) সূর্যগ্রহণের সময় দৈনিক ১৮৯টি মৃত্যু ঘটেছিল। যা স্বভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩১ শতাংশ বেশি।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন মতে, সূর্যগ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রে এবার প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য রাস্তায় নামবে। তারা যেসব এলাকা থেকে ভালভাবে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে সেসব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করে।  ওই সময় চারদিকে অন্ধকার থাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 জানা গেছে, বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। সুর্যগ্রহণের কারণে এই রাজ্যগুলোর অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

 মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, আগামী ৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। 

Dummy Ad 1

ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি ইরানের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি ইরানের

বার্তাবেলা ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পাঁচ সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানের ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ইন্টেলিজেন্স প্রধান নিহত হয়েছেন। তাছাড়া হামলায় তার দুই সহকারী ও অন্য দুই গার্ডও নিহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তেহরান। ইসরায়েলের ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ার বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল।

এদিকে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসলামি জিহাদ। শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে হামাস জানিয়েছে, দামেস্কের মাজ্জে এলাকার একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলায় আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে যে, নাৎসিবাদী ইসরায়েল সরকার মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি হয়ে উঠেছে।

ইসলামি জিহাদ আন্দোলন পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল সরকার গাজা উপত্যকায় নিজেদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে এবং বিশ্ব জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সিরিয়ায় আগ্রাসন চালিয়েছে।

ইসলামি জিহাদের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের হামলা চালিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব বন্ধ করা যাবে না। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সিরিয়া যে সমর্থন দিচ্ছে তাতেও পরিবর্তন আনা যাবে না।

হামাস ও ইসলামি জিহাদ উভয়ের বিবৃতিতে দামেস্কে ইরানি বিপ্লব গার্ডের নিহত পাঁচ সদস্য এবং ইরানি জাতির প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি জানায়, দামেস্কে ইরানের পাঁচ সামরিক উপদেষ্টা ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন।

দামেস্কের মেজ্জা এলাকার একটি তিন তলা বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়। মেজ্জা এলাকায় বেশ কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। আইআরজিসির বিবৃতিতে দামেস্কে নিহত সেনা উপদেষ্টাদের নাম জানানো হয়েছে। তারা হলেন, হুজ্জাতুল্লাহ ওমিদভার, আলী আগাযাদে, হোসেইন মোহাম্মাদি, সাঈদ কারিমি এবং মোহাম্মাদ আমিন সামাদি।

গত ২৫ ডিসেম্বর সিরিয়ায় ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার শিকার হন ইরানের কুদস ফোর্সের শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ রাজি মুসাভি। এর কিছুদিনের মধ্যেই এই হামলা চালানো হলো।



ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

বার্তাবেলা ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "আমাদের জবাব আজ থেকে শুরু হল।”

বাইডেন বলেন, ‌‘আমার নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ থেকে শুরু হলো। আমাদের পছন্দমতো সময়ে ও জায়গায় এটি চলতে থাকবে।’

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশের ৮৫টি বেশি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। একাধিক বিমান হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরপাল্লার বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানায় তারা।


গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হন। জর্ডানে ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় তিনজন নিহত ছাড়াও আহত হন আরও ২৫ জন সেনা সদস্য।

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানপন্থি ১৮ যোদ্ধা নিহত

ওই হামলার পর কঠোর প্রতিশোধের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদনের পরদিনই দুই দেশে হামলা চালিয়ে বসলো মার্কিন সামরিক বাহিনী।

খবর: আল-জাজিরার।


হামাসের যুদ্ধ বন্ধের
হামাসের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

হামাসের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

বার্তাবেলা ডেস্ক: হামাসের দেওয়া যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার, বন্দি মুক্তি ও গাজার শাসনভার হামাসের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধ করাসহ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

রোববার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে হামাস যুদ্ধ বন্ধ করা, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা ও সব খুনি-ধর্ষকদের মুক্তি দাবি করছে। তাদের এই শর্ত মেনে নেওয়া মানে, হামাসকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া ও ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে অকার্যকর প্রমাণ করা।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র?

তিনি আরও বলেন, হামাসের ‘আত্মসমর্পণের’ এই পরিভাষা আমি পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই শর্ত মানলে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবো না। ঘরছাড়া মানুষদের তাদের ঘরে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে পারবো না এবং আরেকটি ৭ অক্টোবর কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

আবার গত বৃহস্পতিবারের (১৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকতে হবে। আর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে তিনি বলেছিলেন, এমন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হবে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। তার আওতায় হামাসের হাতে ইসরায়েল থেকে ধরে এনে গাজায় জিম্মি করা ২৪০ জনের মধ্য থেকে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েলের জেলে বন্দি থাকা ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাকি ১৩৬ জিম্মির মুক্তির জন্য নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছেন নেতানিয়াহু। তাদের স্বজনরা নেতানিয়াহুর বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করে মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা চান, তাদের স্বজনরা দ্রুতই বাড়িতে ফিরে আসুক। এমনকি, জিম্মিদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সমস্যার সমাধান করার প্রশ্নেও নমনীয় না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে নেতানিয়াহুর। অন্যদিকে, তার ডানপন্থী জোটের ক্ষমতাসীন নেতারা গাজায় যুদ্ধের মাত্রা বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক চাপের মধ্যে আছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী