শেয়ার বাজার

আমরাও একদিন চাঁদে যাবো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

আমরাও একদিন চাঁদে যাবো: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ একদিন চাঁদে যাবে, এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মকে সেভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একসময় আমাদের চাঁদেও যেতে হবে, চাঁদও জয় করতে হবে। সেই বিজ্ঞানসম্পন্ন জ্ঞানটা যেন আমাদের শিশুরা এখন থেকে পায়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ এবং ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাকাশ গবেষণা এবং এ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, অ্যারোস্পেস এবং অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটিও করেছি। অ্যারোনটিক্যাল সেন্টারও করে দিয়েছি। গবেষণা এবং সেই সঙ্গে আমাদের শিশুদের এখন থেকে সেভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারের আন্তরিকতা ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় আমরা একটা সুষম, জনকল্যাণমুখী, সর্বজনীন, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চাই। আর শুধু ওই কেতাবই পড়ে না, ছোট ছোট শিশুদের ভেতরে যে মেধা-মনন সেগুলোও তো আমাদের বের করে আনতে হবে। তাদের সুযোগ দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ভেতরে যে একটা কিছু করার ক্ষমতা আছে, সেটা যাতে বিকশিত হয় সেই সুযোগটা সৃষ্টি করা দরকার। আর সেদিকে লক্ষ রেখেই কিন্তু শিক্ষা কারিকুলাম-আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের মধ্যে নিয়ে এসে স্কুলে কম্পিউটার করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করা। প্রথমে এটা মাধ্যমিক থেকে শুরু করেছিলাম, এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাইমারি থেকেই শুরু করে দেবো।’

দুই বছরের জন্য প্রি-প্রাইমারি চালুর কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রি-প্রাইমারি আমরা চালু করেছি। প্রি-প্রাইমারি এক বছরের জন্য, এখন আমরা সেটা দুই বছরের জন্য করতে চাচ্ছি। শুধু পড়াশোনা না, আসবে-যাবে, একসঙ্গে বসবে, বন্ধুদের নিয়ে খেলাধুলা করবে, ওই খেলাধুলার মধ্য থেকেই তাদের ভেতরে যে সুপ্ত মেধাটা আছে, সেই মেধাটা কীভাবে বিকশিত করা যায়, সেই ধরনের ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। তাহলেই কিন্তু এই ছেলে-মেয়ে, এরাই তো ভবিষ্যৎ আমাদের। সেভাবে আমরা তাদের তৈরি করে দেবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির, কাজেই কম্পিউটার শেখা, আমরা যেমন ল্যাব করে দিচ্ছি, ইনকিউবেশন সেন্টারও করে দিচ্ছি। সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠী আমরা গড়ে তুলতে চাই। সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তাহলে আমাদের স্মার্ট সিটিজেন হবে। স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ। অর্থাৎ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি। এই ছোটবেলা থেকে, শিশুকাল থেকে ধীরে ধীরে তারা গড়ে উঠবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। দেশের উন্নয়নে তাদের চিন্তা-ভাবনা, তারা আরও নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়েই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটাই আমি চাই।’

আজকের শিশুরা আগামী দিনের কর্ণধার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক। যারা একদিন এ দেশের কর্ণধার হবে। এই শিশুদের মধ্য থেকেই একদিন কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় বড় সরকারি চাকরি করবে, বৈজ্ঞানিক হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, সেটাই আমাদের আশা। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং আর ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যানও করে দিয়েছি। যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা সুন্দর জীবন পায়, সেটাই আমার লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাদীক্ষায়, সংস্কৃতি চর্চায়, খেলাধুলা, সবদিকে যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। সেটাই আমরা করতে চাই। তার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু আমরা করবো।’

এ বছর ১৮ ক্যাটাগরিতে মোট ১২৬ শিক্ষার্থী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৫৪ শিক্ষার্থী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।

Dummy Ad 1

চৌদ্দগ্রামে তরুণ রাজনীতিবীদের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

চৌদ্দগ্রামে তরুণ রাজনীতিবীদের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার

এম এ  আলম (চৌদ্দগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মুহসিনুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও আল মক্কা ট্রাভেলসের স্বত্তাধিকারী মুফতি মোঃ খোরশেদ আলমের উদ্যোগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে অফবিট রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা করেন মুফতি মোঃ খোরশেদ আলম। দৈনিক যায়যায়নি পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান মিয়াজী, এই চ্যারিটি সোসাইটির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ আকতারুজ্জামান, সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ এমদাদ উল্যাহ, দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আবু বকর সুজন, দৈনিক কালেরকণ্ঠের প্রতিনিধি আবুল বাশার রানা। 

অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল মক্কা ট্রাভেলস মুন্সিরহাট শাখার পরিচালক সামছুল আলম, বার্তাবলো.কম এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি এম এ আলম, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি কামাল হোসেন নয়ন, আনন্দ টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মিনু, দৈনিক দেশ রুপান্তরের প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন, দৈনিক সকালের সময়ের প্রতিনিধি মুহা. ফখরুদ্দিন ইমন, দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি মোঃ শাহীন আলম, কুমিল্লার টিভির প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি গোলাম রসুল, দৈনিক গণজাগরণের প্রতিনিধি সফিউল রানা, দৈনিক গণমুক্তির প্রতিনিধি খোরশেদ আলম। 

অনুষ্ঠানে চৌদ্দগ্রামের প্রয়াত সাংবাদিক ও কবরবাসী সকল বাবা-মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামী ঐক্যজোট চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা মোবারক করিম। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের উৎসাহ প্রদানে মুফতি খোরশেদ আলমের মতো অন্যান্য রাজনীতিবীদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান সাংবাদিকবৃন্দ। এরআগে মুফতি মোঃ খোরশেদ আলম সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদের পোষাক বিতরণ করেন।


তদবির শিখতে ইনস্টিটিউট খোলার কথা বললেন এমপি শাহাজাদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তদবির শিখতে ইনস্টিটিউট খোলার কথা বললেন এমপি শাহাজাদা

বার্তাবেলা ডেস্ক: রাস্তাঘাটসহ এলাকার উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) দিয়ে এবং সংসদে বক্তব্য দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা। এমন অভিযোগ করে তিনি তদবির শিখতে ইনস্টিটিউট খোলার কথা বলেছেন।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকারকে উদ্দেশ করে শাহাজাদা বলেন, আমরা সংসদে কথা বলি। আমাকে ৭ মিনিট সময় দিয়েছেন। এজন্য লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। আমরা কথা বলি, কথাগুলোর বাস্তবায়ন হওয়ার প্রয়োজন। তা না হলে শুধু কথা বলবো এলাকার লোকজন ফেসবুকে দেখবেন এটা তো! আমরা যে কথাগুলো বলি এটার যদি প্রয়োজনীয়তা থাকে তাহলে তা বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। বাস্তবায়নে আমরা মন্ত্রণালয়ে ডিও দেই। সংসদে কথা বলি। এছাড়া তো বাকি কোনো জায়গা নেই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু বৈষম্য দেখি। আমরা দেখি কোনো না কোনো আসনে বিস্তর কাজ হয়। অনেক রাস্তা যায়। সেখানকার জনগণ ভোট দেয়। সেখানকার জনগণের ভোট একটি, আমার এলাকার জনগণেরও ভোট একটি। এরপরও আমরা অনেক সময় বৈষম্যের শিকার হই। এই বৈষম্য থেকে আমার নির্বাচনী এলাকা মুক্তি পাবে এই প্রার্থনা করি। না হলে জানতে চাই- ডিও লেটার দিয়ে কীভাবে তদবির করতে হয়। এই তদবির করার জন্য কোনো ইনস্টিটিউট খুলতে হবে। সেখানে গিয়ে আমরা তদবির শিখবো এবং তদবির করে কাজ নেবো।

শাহাজাদার এ বক্তব্যের সময় সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান। তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা গলাচিপার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে রোগীর গায়ে পলেস্তারা খসে খসে পড়ে। ফ্যান খুলে চিকিৎসকরা আহত হন।


জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৪

জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। তার নাম অর্ক। সে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের শয়ন মন্ডলের মেয়ে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি হুমায়ূন কবির জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্ক নিজ বাড়ির বারান্দায় খেলাধুলা করছিল। তখন পূজা দেওয়ার সন্ধ্যাবাতির আগুন লেগে দগ্ধ হয় অর্ক। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যায় শিশুটি। তার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে