শেয়ার বাজার

ইসলামী ব্যাংকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতে এস আলমের ছেলেসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতে এস আলমের ছেলেসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আহসানুল বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের (এস আলম) ছেলে। এস আলমের দুই ভাইকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন ঢাকার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পরিষদের ১৪ জন ও এস আলমের দুই ভাইসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

আহসানুল আলম ছাড়াও এ মামলায় আসামির তালিকায় আছেন এস আলমের ভাই সোনালী ট্রেডার্সের সহিদুল আলম ও গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাশেদুল আলম। আসামির তালিকায় আরও আছেন ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) রফিকুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, সাবেক পরিচালক মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, খুরশীদ উল আলম, মো. কামরুল হাসান, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান এবং সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের নভেম্বরে এস আলম-সংশ্লিষ্ট মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সরওয়ার চৌধুরী চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংকের চাক্তাই শাখায় ঋণের জন্য আবেদন করেন। পরের মাসে শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা অনুমোদন করেন। মিথ্যা তথ্যের ওপর জাল কাগজে এ ঋণের জন্য আবেদন করে মুরাদ এন্টারপ্রাইজ। পরে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়। কোনো প্রকার যাচাই না করেই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাংকের কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে এ ঋণ অনুমোদন করেন। প্রথমে ৮৯০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করা হলেও পরে সেটা বৃদ্ধি করা হয়। গত বছরের মার্চ মাসে এ ঋণ জালিয়াতি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মুরাদ এন্টারপ্রাইজ যে বিনিয়োগের কথা বলে ঋণ নিয়েছিল, পণ্য না কিনে তা স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ মূলত এস আলম গ্রুপে পণ্য সরবরাহ করতেন। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তাঁরা ঋণের টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।

গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের জুবলী ও খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এই দুটি ঋণের বিষয়টিও অনুসন্ধান করছে দুদক।

এস আলম পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এস আলম পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহীম মিয়া আজ এ আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের এ আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ। দুদকের পক্ষ থেকে গতকাল লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১২৫টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ টাকা জমা রয়েছে।

এর আগে ৭ অক্টোবর এস আলম তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী এস আলম। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। এরপর আরও একাধিক ব্যাংক, বিমা দখল করে নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয় গ্রুপটি। পাশাপাশি গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও ঋণ অনুমোদন করা হয়।

এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংককে এস আলম মুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর সহযোগীরা ‘অন্তত’ ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ‘বের করে নিয়েছেন’।

Dummy Ad 1

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
আগামী ৪ মে শুরু ভোটগ্রহণ, চলবে চার ধাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আগামী ৪ মে শুরু ভোটগ্রহণ, চলবে চার ধাপে

বার্তাবেলা ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। সারাদেশে চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আগামী ৪ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে তা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে ২৭তম কমিশন সভা শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।

ইসি সচিব জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা, পবিত্র রমজান মাস ও বর্ষাকাল— এ তিনটি বিষয় নিয়ে ভাবছে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী উপজেলার সংখ্যা ৪৫২টি। চার ধাপে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ তথা শেষ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়।

ইসি সচিব আরও জানান, প্রথম ধাপে ৪ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত তফসিল ও উপজেলার নাম জানানো হবে।

দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় গত বছরের জুন মাসে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চলতি বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ আরও কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করতে হবে ইসিকে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি। সাধারণত সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন করা হয় না। একাধিক ধাপে এ নির্বাচন হয়। এবারও ধাপে ধাপে নির্বাচন করার চিন্তা করছে ইসি।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। বর্তমানে দেশে ৪৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপযোগী হয়ে আছে। জুনের মধ্যে এসব উপজেলায় নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে অল্পসংখ্যক ছাড়া প্রায় সবগুলো উপজেলা নির্বাচন উপযোগী হবে।


চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার

চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান। দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে গ্রেফতার শুরু হবে।

কেউ চাঁদাবাজি করবেন না। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, যোগ করেন তিনি।

ঢাকায় ছিনতাই বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মোবাইল ছিনতাই বেড়েছে। রাস্তা-ঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচল করতে হবে।

ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এ জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। তবে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।

ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।

ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, যানজটের মধ্যে গাড়িচালকরা অনবরত হর্ন বাজাতে থাকেন। কিন্তু যানজটের মধ্যে হর্ন বাজালে সমাধান কি? যারা বারংবার হর্ন বাজাবে তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৪

"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েন এ আদালত পরিচালনা করেন। তার সঙ্গে আছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

এদিকে, এসময় একই অভিযোগে ধানসিঁড়ি নামে আরেকটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সিঁড়ির সামনে মালামাল রাখায় সেভা হাউজ নামে একটি ভবনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ভবনটি সাততলা।

দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত গুলশান-২ নম্বর এলাকায় অভিযান চলে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে অভিযানে নেমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বেইলি রোডে বন্ধ থাকা সুলতানস ডাইন ও নবাবী ভোজ নামের রেস্টুরেন্ট দুটি সিলগালা করে রাজউক। এছাড়া স্কাই ভিউ নাইটেঙ্গল টাওয়ার নামের ৮ তলা রেস্টুরেন্ট ভবন পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে তারা দেখতে পান ৩ মিটার সিঁড়ির বদলে সেখানে রয়েছে ৩ ফিট সিঁড়ি। সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট একটি লিফট। এছাড়া ভবনটিতে কোনো ফায়ার এক্সটিংগুইসার দেখা যায়নি। পরে সেখানে ফায়ার সার্ভিস ‘ভবনটি অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়।

এছাড়া সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত রেস্টুরেন্টে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এসব অভিযানে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা কয়েকটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলাও হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।