শেয়ার বাজার

সরকার পতনের কর্মসূচি আবারও আসছে: বিএনপির ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সরকার পতনের কর্মসূচি আবারও আসছে: বিএনপির ফারুক

বার্তাবেলা ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সরকার পতনের কর্মসূচি আসবে, সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।’

স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়ার) এক ছটাক জায়গাজমিও নেই।’

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত মানবনন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতো না, দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিকে তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘এত বছরেও সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি এই সরকার। অথচ তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেন। মানুষ এখন নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারে না। যারা আজ মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়।’

আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যখন গণমাধ্যম সোচ্চার হয় তখন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না- তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। যে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার- এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। সরকার জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। সরকার দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে, তাদের পায়ের মাটি সরে যাচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।’

মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Dummy Ad 1

ভারতীয় হাইকমিশনে দেওয়া বিএনপির স্মারকলিপিতে যা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভারতীয় হাইকমিশনে দেওয়া বিএনপির স্মারকলিপিতে যা আছে

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় হাইকমিশনে এ স্মারকলিপি দিয়ে আসেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বিএনপির তিন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। এই ছয় নেতার স্বাক্ষর আছে স্মারকলিপিতে।

স্মারক লিপিতে বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক অবন্ধুসুলভ ঘটনাবলী নিয়ে গভীর উদ্বেগ

স্মারক লিপিতে লেখা আছে, ‘আমরা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বোচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই মর্মে গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করছি যে, দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার অভাবনীয় তুমুল আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আপনার দেশে পালিয়ে যাওয়ার পর আপনারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। অতঃপর আপনার দেশের অতি উগ্রবাদী নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষ করে কতিপয় সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়া বাংলাদেশের এই গণশত্রু হাসিনা ওয়াজেদকে পুনরায় পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করবার নিমিত্তে একের পর এক অজ্ঞ-অর্বাচীনের ন্যায় কাজ করে যাচ্ছে । যাতে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের বন্ধুত্ব ছিল হাসিনার সাথে, বাংলাদেশের জনগণের সাথে নয়।

হাসিনা এখন বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে উঠেছে। একদিকে তিনি বাংলাদেশের ভিন্ন দলমতের মানুষদের ঘরবাড়ি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুকুম দিচ্ছেন। অপরদিকে, যারা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন। ভারতের নিরাপদে আশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার এই অপচেষ্টা বাংলাদেশের জনগণ ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না।’

এক্সিলেন্সি,

‘আপনি সম্যক অবগত আছেন যে, গত ২ ডিসেম্বর ২০২৪-এ আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। নৈতিক পদস্খলনের কারণে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত সাবেক ইসকন নেতা শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে উগ্র হিন্দুত্ববাদী হাজার হাজার মানুষ যখন রাষ্ট্রীয় মদদ ও প্রশ্রয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করছিল তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে আপনার দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রাপ্ত বিবরণগুলো চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে, তারা জাতীয় পতাকা ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরে সম্পত্তিরও ক্ষতি করে। দুঃখজনকভাবে, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় না থাকতে দেখা গেছে। এটি কূটনৈতিক নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুতর লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এহেন ন্যাক্কারজনক বিস্ময়কর ঘটনাসমূহের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও আপনার সরকারের নীরবতায় বাংলাদেশের জনগণ হতাশ। আমরা পরস্পরের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হবে সমতা, পরস্পরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্মান প্রদর্শনের ওপর।’

‘স্বার্বভৌম কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের সামিল। ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবজ্ঞা স্বরূপ বলে আমরা চাই ভারত সরকার ভারতীয় মিডিয়া আউটলেটগুলোকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার আদর্শ প্রচার করতে পরামর্শ দেবে।’

আমরা আশা করি, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, অপতথ্য বন্ধ করতে ভারতীয় সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

‘দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশগুলোর মধ্যে একটি স্থিতিশীল, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ অংশীদারত্ব অপরিহার্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতিসংঘের সনদের নীতির উপর ভিত্তি করে সকল সদস্যের সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আমাদের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপির মাধ্যমে আপনাকে অবগত করছি এবং অনুরোধ জানাচ্ছি যে, ‘জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অবস্থান ও মতামত ভারতীয় সরকারের নিকট পৌঁছে দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’


আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা  বুধবার

বার্তাবেলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।


জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

বার্তাবেলা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ নাও করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক উপ-কমিটির এই মতবিনিময় সভা হয়।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও এটা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু এটা চূড়ান্ত কথা হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা বিবেচনায় আনতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘ডেমোক্রেসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা- এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমি কী করে বলবো তারা সরে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’